Yamaha FZ-S Version 3.0

ইয়ামাহা মোটর কোম্পানি  বা  ইয়ামাহা মোটরসাইকেল

বিশ্বের মোটরসাইকেল জগতের পার্ফর্ম্যান্সের ভিত্তিতে সেরাদের একটি। মূলত জাপান ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠান টি যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তীতে ছড়িয়ে পড়ে এবং ভারতীয় বাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে।


তারা মূলত সুপরিচিত স্মুথনেস এবং পার্ফর্ম্যান্সের জন্য। এই দুই ক্যাটাগড়ি তে সেরা সার্ভিস দিয়ে প্রিমিয়ামনেস এর কাতারে শীর্ষ অবস্থান করছে এই জাপানিজ ইয়ামাহা। 


তাদের, ১০০০ সিসি স্পোর্টস বাইক থেকে ৫০ সিসির পর্যন্ত কমিউটার বাইক রয়েছে। আমাদের দেশে সিসি লিমিট থাকায় তা ১৬৫ সিসি পর্যন্ত সীমাবদ্ধ।












১৫০ সিসি সেগমেন্টে তাদের পরিচিতি ও কম নয়। তরুণ থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকলের কাছেই জনপ্রিয় তাদের ১৫০ সিসি সেগমেন্টের বাইক গুলো।


১৫০ সিসি সেগমেন্টের বাজেট রেঞ্জের কমিউটিং বাইক টি হলো "FZ-S"  যার সর্বশেষ আপডেট ইডিশন  FZ-S  Fi Version 3  টি লঞ্চ হয় ২০১৯ এর শুরুর দিকে।

ট্রেডিশন্যালি একে কমিউটিং বা ন্যাকেড স্পোর্টস বাইক ও বলা হয়ে থাকে।
FZ-S & FZ এই দুইটি মডেলে লঞ্চ করে। দুটি মডেলে শুধু রং এর পার্থক্য ও ইঞ্জিন গার্ড এর পার্থক্য রয়েছে। এছাড়া ডাইমেনশনাল পার্থক্য নেই।

এতে রয়েছে এয়ার কুলড ১৪৯ সিসির সিঙ্গেল ওভার হেড ক্যাম শ্যাফ্টের ২ ভালভ সম্পন্ন সিঙ্গেল পিষ্টন বা সিলিন্ডারের ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিনে রয়েছে একটি ক্যাম শ্যাফ্ট যা রকার আর্মের দ্বারা ইঞ্জিন ভালভ কে পরিচালিত করে। আর এতে রয়েছে ফুয়েল ইঞ্জেকশন, যা এক্সিলারেশনের ওপর ভিত্তি করে ফুয়েল ইঞ্জেক্ট করে ভালভ গুলো তে। একে ইয়ামাহার ব্লু কোর ইঞ্জিনও বলা হয়।

এর বোর ও স্ট্রোক যথাক্রমে ৫৭.৩ x ৫৭.৯ মিলিমিটার
কম্প্রেশন রেশিও ৯.৫:১ ! এর ইমিশন স্ট্যান্ডার্ড বিএস-৪।

এটি সর্বোচ্চ ১৩ হর্স পাওয়ার (৮০০০ আরপিএমে) এর সাথে ১২.৮ নিউটন মিটারের টর্ক (৬০০০ আরপিএমে) উৎপন্ন করতে সক্ষম।

স্মুথ ভাবে এই ইঞ্জিন এর অপারেটিং এর জন্য প্রয়োজন হয় ১ লিটার অয়েল। আর সাথে রয়েছে অয়েল ফিল্টার, যা প্রতি দুইবার ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তনের সময় পরিবর্তন করতে হয়। তবে প্রতিবার ইঞ্জিন অয়েল এর সাথে সাথে অয়েল ফিল্টার পরিবর্তন করা উত্তম।
এর ইঞ্জিন অয়েল গ্রেড ১০-৪০ বা 10w-40

সব সময় নির্দিষ্ট গ্রেড ফলো করে ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করতে হবে।
এছাড়াও এর এয়ার ফিল্টার প্রতি ১২০০-১৫০০ কিলোমিটার পর পর পরিষ্কার করা উচিত। আর প্রতি ৫০০০ কিলোমিটার পর পর পরিবর্তন করা উত্তম।

ফুয়েল হিসেবে অকটেন অথবা ভালো মানের পেট্রোল। পেট্রোল ব্যবহার করলে মাইলেজ তুলনামূলক বেশি পাওয়া যায়।

এতে রয়েছে ৫ স্পিডের ট্রান্সমিশন, যা ১৫ দাঁত যুক্ত স্প্রোকেট ব্যবহার করে একে দিয়েছে প্রায় ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টার টপ স্পিড।

এর আউটলুক টা বেশ মাস্কুলার, সাথে সামনে দেয়া হয়েছে টুইন সেটআপ এলইডি হেডল্যাম্প।
১৩৩০ মিলিমিটার হুইলবেস সম্পন্ন এই বাইক টি প্রায় ২ মিটার লম্বা। এর সিটের উচ্চতা ৭৯০ মিলিমিটার। এতে ব্যবহার করা হয়েছে ডায়মন্ড ফ্রেমের চ্যাসিস।

এই বাইকটি সুপরিচিত তার সুপার গ্রিপি কর্নারিং এর জন্য। এর সামনে রয়েছে ১৭ ইঞ্চি রিম যুক্ত ১০০/৮০-৫২ সেকশনের টায়ার এবং পেছনে ১৪০/৬০-৬৩ সেকশনের টায়ার সাথে ১৭ ইঞ্চি রিম।
এফযেড-এস এ রয়েছে ইঞ্জিন গার্ড, যা এফযেড এ নেই।

অয়েল এবং ফুয়েল মিলিয়ে বাইকটির ওজন ১৩৭ কেজি যা এই সেগমেন্টে সর্বনিম্ন। ১৬৫ মিলিমিটার গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স এর সাথে সামনে টেলিস্কোপিক ফর্ক ও পেছনে ৭ স্টেপের অ্যাডজাস্ট্যাবল ১২০ মিলিমিটারের মনোশক সাসপেনশন আর আপ-রাইট হ্যান্ডেলবার এই বাইক টি কে করেছে ইউজার ফ্রেন্ডলি।

যেকোনো বয়সী রাইডারের জন্য যেকোনো রাস্তায় এটি ড্রাইভিং ফ্রেন্ডলি। এই বাইকের দুই স্তরের সিট অনেক ভালো কমফোর্ট দেয়, লং রাইডেও!

এর পেছনে রয়েছে ২২০ মিলিমিটারের ডিস্ক ব্রেক এবং সামনে ২৮২ মিলিমিটারের ডিস্ক ব্রেক ও বোশ (BOSCH 1cH) ব্রান্ডের এবিএস, যা ব্রেকিং পার্ফর্ম্যান্সে একে সবার উপরে রেখেছে।






এর নেগেটিভ এলসিডি প্যানেলের ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার টি তে রয়েছে কালো ব্যাকগ্রাউন্ড ও সাদা রঙের ব্যাকলাইট  ভিজ্যুয়ালিটি। ডিজিটাল স্পিড মিটার, বার স্টাইল ট্যাকোমিটার, ফুয়েল গজ, এবিএস ওয়ার্নিং ইন্ডিকেটর সহ টোটাল অডো মিটার এর সাথে ২ টি আলাদা ট্রিপ মিটার, ইকো রাইডিং ইন্ডিকেটর ও ঘড়ির সাথে অন্যান্য সকল প্রয়োজনীয় ইন্ডিকেটর রয়েছে।
তবে থাকছে না কোনো গিয়ার ইন্ডিকেটর।

এর ফুয়েল ট্যাংকের ক্যাপাসিটি প্রায় ১৩ লিটার। ফুল ট্যাংক তেল নিলে অন্তত ৪৮০-৫০০ কিলোমিটার অনায়াসে এই বাইক চলতে পারে।

যেহেতু আমাদের দেশের রাস্তা মোটেও সঠিক মাপ অনুযায়ী বানানো হয় না, সেহেতু আমরা চেষ্টা করব টায়ার প্রেসার অন্তত সামনে পেছনে ৩০ পিএসআই রাখার জন্য।
তবে আমাদের রিকমেন্ডশন হলো, সামনে ৩০-৩৫ এবং পেছনে ৩৫-৪০ পিএসআই এয়ার প্রেসার  রাখা।

বাইকটির ‌বর্তমান বাজার মূল্য
      এফযেড          : ২৫১,০০০ টাকা
      এফযেড-এস   : ২৬৩,০০০ টাকা

*** উভয়ই এবিএস ব্রেকিং সম্বলিত ***

পরিমিত টায়ার প্রেসার, ভালো মানের তেল, ভালো মানের ও সঠিক গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল, পরিষ্কার এয়ার ফিল্টার এবং স্মুথ ড্রাইভিং করলে এই বাইক থেকে ম্যাক্সিমাম ইকোনোমি ও পার্ফর্ম্যান্স পাওয়া সম্ভব।

এজন্যই, আমাদের রেগুলার মেইনটেন্যান্স টিপস ফলো করুন এবং আপনার বাইকের লং লাস্টিং পার্ফর্ম্যান্স নিশ্চিত করুন।

*** আপ-কামিং ফুল মেইনটেন্যান্স - রিভিউ এর জন্য আমাদের ফেসবুক পেইজ টি ফলো করুন ***

এছাড়া, Xpress Moto থেকে আপনারা এই বাইক টি স্পেশাল প্রিভিলিজে কিনতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ইনবক্স করুন,

সার্ভিস পয়েন্ট রিভিউ দেখুন : https://youtu.be/h4DfsvQhhk0

সেই সাথে সাবস্ক্রাইব করুন বাংলাদেশের একমাত্র অটোমেটিভ চ্যানেল Xpress Moto তে।
ইয়ামাহা  ইউজার দের জন্য  😍  সুখবর  😍

Xpress Moto তে এখন ইয়ামাহা 🏍️  বাইকের জন্য রয়েছে সুলভ মূল্যের মেইনটেন্যান্স 🛢️ প্যাকেজ। ইঞ্জিন অয়েল, অয়েল ফিল্টার, এয়ার ফিল্টার, ব্রেক প্যাড ও বল-রেসারসহ নিয়মিত সকল মেইনটেন্যান্স এর দায়িত্ব টা তাই এখন নিশ্চিন্তে আমাদের কাছে দিতে পারেন, আর থাকুন ঝামেলা মুক্ত 💯

আমরা সর্বদা আছি, আপনার বাইকের ইঞ্জিনের স্মুথনেস ও পার্ফর্ম্যান্স এর জন্য বেস্ট সল্যুশন নিয়ে।
এছাড়া আপনারা আমাদের মাধ্যমে আপনাদের পছন্দের বাইক, কার সহ যেকোনো ধরনের ভেহিক্যাল কিনতে পারেন।
নিয়মিত অটোমোটিভ ও আপনার বাইক মেইনটেন্যান্স বিষয়ক সাপোর্ট ও তথ্যের জন্য আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো করুন।
আমরা বাংলাদেশের  🇧🇩  একমাত্র "ফাস্টেস্ট গ্রোয়িং অটোব্লগ" যেখানে আপনি আপনার বাইকের  জন্য সেরা সাপোর্ট পাবেন।


Comments

Popular posts from this blog

Tata 709 Ex2 Mini-Truck

Isuzu MT134Q

Mitsubishi BM-117 Turbo

Hero Hunk 2019 Matt Edition

Mitsubishi Lancer EX

Tata LPO-1618 Bus