Honda CB Hornet 160R ABS

"হোন্ডা"   বা   '' H O N D A ''

বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তার কাতারে শীর্ষ পাঁচটি ব্রান্ডের মধ্যে অন্যতম। মূলত তাদের জনপ্রিয় স্ট্রিট বাইকের সিরিজ টি হলো CB Series - Commuting / Crusing Bike ; যা শহর এবং হাইওয়ে তে রাইডের পাশাপাশি অফ-রোড রাইডের ক্ষমতা সম্পন্ন। এই সিরিজ টি অনেক জনপ্রিয় এবং বাজারের প্রায় ২৫ শতাংশেরও বেশি জায়গা ধরে আছে।।‌

আর আমাদের দেশের ট্রেডিশন হলো মোটরসাইকেল কে "হুন্ডা" বা "হোন্ডা" বলা, যা কিনা এই "হোন্ডা" ব্রান্ড থেকেই প্রতিফলিত হয়েছিলো।

এই সিবি সিরিজ এর একটি সদস্য হলো CB-160R; যা কিনা হর্নেট < Hornet > নামেও পরিচিত। মূলত ভারতীয় বাজারে এটি কে " হর্নেট " নামেই পরিচিতি লাভ করানো হয়। এর আগে এর পূর্ব প্রজন্ম ছিলো " সিবি ইউনিকর্ন -১৫০ " যার একটু উন্নত ভার্সন ছিলো‌ " ট্রিগার " এবং " ইউনিকর্ন -১৬০" যা পরবর্তীতে আরো রিফাইন্ড করে হর্নেট নামে আবির্ভূত হয়।




যেহেতু, এখন ইউরোপীয় স্ট্যান্ডার্ড মেনে ইঞ্জিন অপটিমাইজড করা হয়, সেই সূত্রে, এটির ইঞ্জিন টি ইউরো-৪ ভিত্তিক, বিএস-৪ সেগমেন্টের, যা অনেক রিফাইন্ড এবং স্মুথ, আগের তুলোনায়।

এতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৬২.৭১ সিসির স্পার্ক ইগনিশন সিস্টেম সমৃদ্ধ এয়ার কুলড ইঞ্জিন। ফুয়েল হিসেবে পেট্রোল রিকমেন্ডেড। এই ইঞ্জিন এর বোর ৫৭.৩০ মিলিমিটার এবং স্ট্রোক ৬৩.০৯ মিলিমিটার, যার কমপ্রেশন রেশিও ১০:১‌ ।

এটির স্পার্ক প্লাগ টি হলো, CPR8EA - 9 (NGK)



প্রয়োজন অনুযায়ী এটি পরিষ্কার ও পরিবর্তন করা উচিত। দামেও এটি বেশ সাশ্রয়ী। তবে, আমাদের রিকমেন্ডশন, প্রতি ২৫০০ কিলোমিটারে এটি পরিষ্কার করা এবং ১০-১২ হাজার কিলোমিটার পর পর এটি পরিবর্তন করা উচিত।


এটি তে এয়ার ইন্টেকের জন্য ভিস্কোস টাইপ পেপার ফিল্টার ব্যবহার করা হয়েছে, যা খুব হালকা ওজনের এবং সাইজেও কমপ্যাক্ট। প্রতি ৩০০০ কিলোমিটার পর পর এটি পরিষ্কার করা উত্তম; আর প্রতি ৬০০০/৭০০০ কিলোমিটারে এটি পরিবর্তন করা উচিত। দামেও বেশ সাশ্রয়ী।


এর পাওয়ার আউটপুট ১৬০ সিসি হিসেবে বেশ ভালোই, তবে বেশি মাইলেজ ও কম কার্বন নিঃসরণের জন্য এটির পাওয়ার ফিগার টা বেশ সুন্দর করে সাজানো, অর্থাৎ ১৪.৮৭ হর্স পাওয়ার এর সাথে ১৪.৫ নিউটন মিটারের টর্ক, যা কম মনে হলেও প্র্যাকটিক্যালি একবারেই পারফেক্ট।


যেকোনো রোড কন্ডিশনে সলিড এবং ব্যালেন্স পার্ফর্ম্যান্সের সাথে ভালো ফুয়েল ইকোনমি প্রদানে সক্ষম এই ইঞ্জিন।


স্মুথ পাওয়ার ট্রান্সমিট করার জন্য রয়েছে ৫ স্পিড ট্রান্সমিশন, যা ১৫ দাঁত যুক্ত স্প্রোকেট ব্যবহার করে এই ক্ষমতা চেইনের সমন্বয়ে চাকায় প্রদান করে। আর রয়েছে, "সিল্ড ও-রিং" চেইন, যা অন্তত ১০০০ কিলোমিটার পর পর লুব্রিকেশন করলে দীর্ঘদিন ব্যবহার উপযোগী থাকে।

এর গিয়ার রেশিও, যথাক্রমে
১ম গিয়ারে - ৩.০৭৬
২য়‌ গিয়ারে - ১.৭৮৯
৩য় গিয়ারে - ১.৩০০
৪র্থ গিয়ারে - ১.০৬৬
৫ম গিয়ারে - ০.৯১৬

৫ম গিয়ারের রেশিও অনুযায়ী, এটির ফুয়েল ইকোনমি টা আমরা এভাবে ক্যালকুল্যাশন করতে পারি, মোটামুটি অন্য সকল এয়ার কুলড ইঞ্জিনের মতো এটি কে ৪০০০-৬০০০ আরপিএমে চালালে সর্বোচ্চ মাইলেজ (৪০-৫৫ কিমি/লি) দিতে সক্ষম। তবে‌ রাস্তার কন্ডিশন, চাকার এয়ার প্রেসার, তেল, ইঞ্জিন অয়েল, এয়ার ফিল্টার এর অবস্থা এবং রাইডারের ওজনের ওপর ফুয়েল ইকোনমি নির্ভর করে।


যেহেতু এতে কোনো অয়েল ফিল্টার বা অয়েল কুলিং নেই, তাই এতে ১০০০ মিলিলিটার বা ১ লিটার '১০-৩০' গ্রেড এর ইঞ্জিন অয়েল প্রয়োজন। আমাদের রিকমেন্ডশন অনুযায়ী ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করলে এর ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ভাল্ভ ক্লিয়ারেন্স অ্যাডজাস্টমেন্ট ও এক্সহস্ট নোট অনেক স্মুথ থাকবে ; যা সর্বোচ্চ ফুয়েল ইকোনমি ও ভালো পার্ফর্ম্যান্স দিবে।

আর অবশ্যই অবশ্যই, ইঞ্জিন অয়েল গ্রেড টি '১০-৩০' এর হতে হবে। [ 10-W30 ]

সামনে ও পেছনে ১৭ ইঞ্চির ৫ স্পোক যুক্ত অ্যালয় রিম, সাথে ১০০/৮০ (সামনে) এবং ১৪০/৭০ (পেছনে) সাইজের টিউবলেস টায়ার। টায়ার প্রেসার সামনে ৩০-৩৩ এবং পেছনে ৩৩-৩৭ পিএসআই রাখা উত্তম। কারন আমাদের দেশের রাস্তা মোটেও সঠিক মাপ অনুযায়ী বানানো হয় না। তবে টায়ার প্রেসার, রাইডার তার সুবিধা মতো নিতে পারবেন। তবে কোনো ভাবেই উভয় টায়ারের এয়ার প্রেসার ৩০- এর নিচে যেনো না থাকে, এটি মাথায় রাখতে হবে।

এটির রয়েছে ডায়মন্ড টাইপ চ্যাসিস ফ্রেম, সাথে ৩ লেভেলের অ্যাডজাস্টেবল মনো-শক সাসপেনশন। রাস্তা ও রাইডারের উচ্চতা ও সুবিধা অনুযায়ী এটি ৩ টি ধাপে অ্যাডজাস্ট করা সম্ভব। এটি কে সবসময় ক্রমান্বয়ে অ্যাডজাস্ট করতে হবে। ১-২-৩ অথবা ৩-২-১ এর পোর্শনে, নতুবা ৩ থেকে সরাসরি ১ এ আসলে সাসপেনশন এর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

২০৪১ মিলিমিটার লম্বা ও ১৩৪৬ মিলিমিটার হুইলবেস সম্পন্ন এই বাইকের গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৬৪ মিলিমিটার। ক্রুজিং এর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে আপরাইট হ্যান্ডেলবার। বাইকটির ওজন ১৪০ কেজির কিছু বেশি।

আপরাইট হ্যান্ডেলবারের সাথে ১৬৪ মিলিমিটারের গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ; যা এই বাইকটিকে করেছে হালকা কিংবা ভারী যেকোনো বয়সী রাইডারের জন্য যেকোনো রাস্তায় চলাচল উপযোগী এবং ব্যবহারকারী বান্ধব ও আরামদায়ক।

এটিতে রয়েছে ১২ লিটারের ফুয়েল ট্যাংক। তবে এখানে একটু ভিন্নতা রয়েছে। মাস্কুলার এই ট্যাংকটির ভেতরে রয়েছে "ইভাপোরেট ইমিশন কন্ট্রোল সিস্টেম" বা EVAP ; যা, ফুয়েল কে বাষ্পায়ন হতে রক্ষা করে। অর্থাৎ, বাইক টি‌ যদি রোদের মধ্যে রাখা হয় তবে ফুয়েল বাষ্পায়িত হওয়ার আশংকা থাকে না, আর অতিরিক্ত তাপমাত্রা তে বাষ্পায়িত হলেও তা পুনরায় কম্বাশন চেম্বারে প্রেরন করে এই সূক্ষ্ম যন্ত্র টি। এটিই এই সেগমেন্টে অন্যতম একটি ফিচার বা প্রযুক্তি, যা অন্য কোনো কার্বুরেটর ইঞ্জিন সমৃদ্ধ বাইকে নেই।

বাইকটি তে একবার ফুল ট্যাংক ফুয়েল নিলে অন্তত ৪৭০-৫০০ কিলোমিটার চলতে সক্ষম। তবে, নিরাপত্তার স্বার্থে ৮ লিটার এর বেশি তেল নেয়া উচিৎ নয়।

এর সামনে রয়েছে ২৭৬ মিলিমিটারের পেটাল ডিস্ক ও পেছনে ২২০ মিলিমিটারের পেটাল ডিস্ক। এছাড়া সামনে রয়েছে এবিএস ফাংশনালিটি, যা হাই স্পিড ব্রেকিং ও বৃষ্টি বা ভেজা রাস্তায় ব্রেক করার সময় সামনের চাকা কে লক করা থেকে রক্ষা করে এবং সঠিক ব্রেকিং ফোর্স প্রদান করে।

এছাড়া এটির অন্য ইডিশনটি হলো সিবিএস, যা ইকুলাইজার সমৃদ্ধ। এটি সামনে পেছনে সঠিক সমন্বয়ে ব্রেক প্রদান করে, যা স্বল্প দুরত্বে নিরাপদ ব্রেকিং -এ সহায়তা করে।

এটির ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার প্যানেল টি সম্পূর্ণ ডিজিটাল। এতে ১১ টি ফাংশন রয়েছে।
আমরা এখন এই ফাংশন গুলো নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করছি,

(১) টেকোমিটার প্রতি মিনিটে ইঞ্জিন ঘূর্ণন দেখায়।
(২) স্পিডোমিটার রাইডিং গতি দেখায়।
(৩) ডিজিটাল ঘড়ি ঘন্টা এবং মিনিট দেখায়।
(৪) ওডোমিটার সর্বমোট মাইলেজ দেখায়।
(৫) ফুয়েল লগ আনুমানিক জ্বালানী সরবরাহ দেখায়।
(৬) হাই বিম সিগন্যাল, হেডলাইট কে ইঙ্গিত করে।
(৭) টার্ন সিগন্যাল ইন্ডিকেটর (সবুজ) ফ্ল্যাশ করে, যখন কোনো টার্ন সিগন্যাল কাজ করে।
(৮) নিউট্রাল ইন্ডিকেটর (সবুজ) লাইট ফ্লাশ করে।
(৯) ট্রিপ মিটার, যা একটি অ্যাভারেজ যাতায়াতকৃত দুরত্ব জানান দেয় এবং শূন্য থেকে শুরু হয় ১০০০ কিলোমিটার পর পর।
(১০) সিলেক্ট বাটন, মাইলেজ কাউন্টডাউন সেট করতে ও সময় সামঞ্জস্য করতে ব্যবহার হয়।
(১১) সেট বাটনটি ব্যবহার হয়, ট্রিপমিটার পুনরায় রিসেট করতে, মাইলেজ কাউন্টডাউন রিসেট করতে এবং সময় সেট করতে।

এর মূল্য -

সিবিএস ইডিশন - ১,৮৯,৯০০ টাকা
এবিএস ইডিশন - ২,৫৫,০০০ টাকা


*** আপ-কামিং ফুল মেইনটেন্যান্স - রিভিউ এর জন্য আমাদের ফেসবুক পেইজ টি ফলো করুন ***

এছাড়া, Xpress Moto থেকে আপনারা এই বাইক টি স্পেশাল প্রিভিলিজে কিনতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ইনবক্স করুন


রিভিউ দেখুন



সেই সাথে সাবস্ক্রাইব করুন বাংলাদেশের একমাত্র অটোমেটিভ চ্যানেল Xpress Moto তে।
















































হর্নেট ইউজার দের জন্য 😍 সুখবর 😍

Xpress Moto তে এখন হোন্ডা 🏍️ বাইকের জন্য রয়েছে সুলভ মূল্যের মেইনটেন্যান্স 🛢️ প্যাকেজ। ইঞ্জিন অয়েল, এয়ার ফিল্টার, ব্রেক প্যাড ও বল-রেসারসহ নিয়মিত সকল মেইনটেন্যান্স এর দায়িত্ব টা তাই এখন নিশ্চিন্তে আমাদের কাছে দিতে পারেন, আর থাকুন ঝামেলা মুক্ত 💯💯 ।
আমরা সর্বদা আছি, আপনার বাইকের ইঞ্জিনের স্মুথনেস ও পার্ফর্ম্যান্স এর জন্য বেস্ট সল্যুশন নিয়ে।

এছাড়া আপনারা আমাদের মাধ্যমে আপনাদের পছন্দের বাইক, কার সহ যেকোনো ধরনের ভেহিক্যাল কিনতে পারেন।

নিয়মিত অটোমোটিভ ও আপনার বাইক মেইনটেন্যান্স বিষয়ক সাপোর্ট ও তথ্যের জন্য আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো করুন।

আমরা বাংলাদেশের 🇧🇩 একমাত্র "ফাস্টেস্ট গ্রোয়িং অটোব্লগ" যেখানে আপনি আপনার বাইকের জন্য সেরা সাপোর্ট পাবেন।💯💯💯💯 🆓🆓🆓🆓

 Cell & Whatsapp - 01794624433

Comments

Popular posts from this blog

Tata 709 Ex2 Mini-Truck

Isuzu MT134Q

Mitsubishi BM-117 Turbo

Hero Hunk 2019 Matt Edition

Mitsubishi Lancer EX

Tata LPO-1618 Bus